বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ০৬:১৯ পূর্বাহ্ন

দক্ষিণ আফ্রিকায় ভয়াবহ বন্যায় ৪৯ জনের মৃত্যু

দক্ষিণ আফ্রিকায় ভয়াবহ বন্যায় ৪৯ জনের মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, একুশের কণ্ঠ:: দক্ষিণ আফ্রিকার পূর্বাঞ্চলীয় ইস্টার্ন কেপ প্রদেশে ভারী বৃষ্টি ও ভয়াবহ বন্যায় অন্তত ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন স্কুলশিক্ষার্থী রয়েছে।

বুধবার (১১ জুন) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রাদেশিক মুখ্যমন্ত্রী অস্কার মাবুইয়ানে বুধবার সকালে জানিয়েছেন, প্রতি ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ।

এর আগে মথাথা শহরে গত মঙ্গলবার সকালে একটি সেতু পার হওয়ার সময় একটি বাস স্রোতে ভেসে যায়। এই ঘটনায় বাসের চালক, কন্ডাক্টর ও চার শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছে আরও চার শিশু।

স্থানীয় টিভি চ্যানেল নিউজরুম আফ্রিকা-কে একজন কর্মকর্তা বলেন, আটটি মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। তাদের মধ্যে বাসচালকও রয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম এসএবিসি জানিয়েছে, তিন শিশুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাসটিতে মোট ১৫ জন ছিলেন, যাদের মধ্যে ১১ জনই স্কুলশিক্ষার্থী।

সাউথ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা শোক প্রকাশ করে বলেছেন, যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের পরিবারের প্রতি আমাদের গভীর সমবেদনা।

বুধবার সকালে প্রাদেশিক মুখ্যমন্ত্রী মাবুইয়ানে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং মথাতা শহরের কাছে ডেকোলিগনি গ্রামে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তিনি বলেন, শত শত মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়ে অস্থায়ী আশ্রয়ে রাত কাটাচ্ছেন।

মাবুইয়ানে স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রশংসা করে বলেন, বন্যা শুরু হতেই যারা প্রতিবেশীদের সতর্ক করেছে ও নিখোঁজদের খোঁজে সহায়তা করছেন, তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।

তিনি আরো জানান, ইস্টার্ন কেপের ৫৮টি স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, বিশেষ করে ওআর টাম্বো, আমাথোলি ও আলফ্রেড নজো জেলার তিনটি এলাকায়।

ইস্টার্ন কেপের পাশের প্রদেশ কোয়াজুলু-নাটালেও দুর্যোগ দেখা দিয়েছে। সেখানে ৬৮টি স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এখনো কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।

বৃষ্টি ও তুষারঝড়ের পাশাপাশি প্রবল বাতাসে গত মঙ্গলবার থেকে প্রায় ৫ লাখ বাড়ি বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ সংস্থা এসকম জানিয়েছে, বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরায় চালুর চেষ্টা চলছে।

বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়ছে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রকৃতিতে। দিনকে দিন ওই অঞ্চলে বন্যার তীব্রতা ও ভয়াবহতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের ভয়াবহতার আরেকটি নজির ছিল ২০২২ সালে। সেবার ইস্ট কোস্টে ঝড়ে প্রায় চারশ মানুষ মারা যান। এছাড়া ঘরবাড়ি খুইয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com